নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তরুণ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও শ্রমিক নেতা ফজলুল করিম সাঈদী এখন আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে এসময়ের আলোচিক ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সাঈদী সাধারণ ভোটার মাঝে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতেও দলের নেতা-কর্মীরা তাকে বেশি যোগ্য মনে করছেন। সব মিলিয়ে পুরো চকরিয়া উপজেলা জুড়ে তরুণ নেতা ফজলুল করিম সাঈদীর ব্যাপক নামডাক ছড়িয়ে গেছে। মনোনয়ন পেলে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন ভোটাররা।
এলাকাবাসী জানান, আ. লীগের তরুণ প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও শ্রমিক নেতা ফজলুল করিম সাঈদী প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন সদস্য। তিনি নিজেও একজন আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ কর্মী। তাঁর তরুণ জীবনে বহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং আধুনিক উন্নয়ন যাত্রার বাংলাদেশের নির্মাতা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য অপূরন্ত ভালোবাসা। আওয়ামী লীগের একজন নিবেদীত কর্মী হিসেবে দলের জন্য অনেক ত্যাগ ও অবদান রয়েছে সাঈদীর। দলের যেকোনো দুঃসময় এবং প্রয়োজনে কখনো পিছপা হননি তিনি। সবসময় দল এবং দলের কর্মীদের জন্য নিজের জীবনকে উজাড় করে দিয়েছেন। চকরিয়া উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি পদে থেকে তিনি নিজে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে দলকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করেন।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী দুইবার চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। ২০১৬ সালে পৌরসভার মেয়র পদে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। কিন্তু ওইসময় চকরিয়া উপজেলা ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান ফজলুল করিম সাঈদী। তৃনমুলে তার যেমন জনপ্রিয়তা আছে, তেমনি আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি আস্থাভাজন একজন ত্যাগি নেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। সাঈদীর বাড়ি চকরিয়া েেপৗর সদরের ২নং ওয়ার্ডের জনতা মার্কেট এলাকায় হওয়ার সুবাধে আ.লীগের দু:সময়ে তৃণমুলের সাহসী নেতা-কর্মীদের নিয়ে সব সময় রাজপথেই আনন্দোলন-সংগ্রামের সাথী ছিলেন। আ.লীগের দু:সময়ে সাঈদীর ছিলেন েেপৗর সদরের সাধারণ নেতা-কর্মীদের একমাত্র কান্ডারী ও আশ্রয়স্থল। তাই চকরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ পথটি তিনিই পাওয়ার উপযুক্ত বলে দলীয় নেতা-কর্মীরা দাবী করেছেন।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ফজলুল করিম সাঈদী রাজনীতির মাঠের পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছেন। তিনিসহ দলের নেতা-কর্মীরা মিলে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে নৌকার বিজয় ঘরে তুলতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে দিনরাত কাজ করে বিজয়ী করেছেন। নেতাকর্মীদের একাট্টতায় স্বাধীনতার ৪৫বছর পর এ আসনে বিজয়ের মুখ দেখেছে আওয়ামীলীগ। দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিজয় যে নিশ্চিত তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। সাঈদী সবসময় রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। এখনো আছেন এবং আজীবন থাকবেন।
ডিজিটাল সময়ের শিক্ষিত তরুণ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও শ্রমিক নেতা ফজলুল করিম সাঈদ চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী। চকরিয়ার তৃনমূলের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তাঁকে দেখতে চায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। মিশে গেছেন চকরিয়া কামার,কুমার জেলে, তাতিঁ, শ্রমির, মুজুর, রিক্সা ও ঠেলা চালকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে। দীঘ কয়েকযুগ ধরে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ সাঈদীকে মাঠে-ময়দানে সমাজ সংস্কারে কাজ করতে দেখা গেছে। চকরিয়ার প্রতিটি বাড়ি, গ্রাম বা মহল্লার সকল শ্রেণীপেশার মানুষ সাঈদীকে এক নামে চিনে। তাই প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গণসংযোগসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ভোটাররা রাজনীতির মাঠে এ রকম পরীক্ষিত নেতা সাঈদী ভাইকে পেয়ে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
চকরিয়া উপজেলার তরুণ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও শ্রমিক নেতা ফজলুল করিম সাঈদ রাজনীতিকে মানবসেবার ব্রত হিসেবে মনে করেন। তিনি মনে করেন, সাধারণ মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতি। তাই তিনি দলের কর্মী ছাড়াও নিজ এলাকা চকরিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের অসহায় মানুষের সহযোগিতায় সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চেষ্টা করেছেন। মানুষের পারিবারিক ও সামাজিক নানা সমস্যা সমাধানের জন্যে কাজ করেন যাচ্ছেন। এই সামাজিক দায়বদ্ধতাকে আরো প্রসারিত করতে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবার তাঁকেই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবি উঠেছে চকরিয়ার সর্বত্রে।
আওয়ামী লীগের তরুণ প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও শ্রমিক নেতা ফজলুল করিম সাঈদী আ.লীগের দ:সময়ের ১৯৯৬সাল থেকে ২০০৫-২০০৬ ও ২০০৭ সালের ৪ দলীয় জোট সরকার বিরোধী আন্দোলন। ২০০৭ সালের ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিরোধী আন্দোলন। ২০১৩, ২০১৪ সালে বিএনপি জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে এবং দেশের কঠিন সময়ে প্রতিটি আন্দোলনে সামনের সারিতে অংশ গ্রহন করেছিলেন। আ.লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধে দিন-রাত রাস্তার উপর সময় কাঠিয়েছেন। আ.লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন সাঈদী।
পারিবারিক প্রেক্ষাপট: চকরিয়া উপজেলার সাবেক চিরিংগা ইউনিয়নের পুরাতন বাসষ্টেশন সংলগ্ন জনতা মার্কেট পাড়ায় জন্ম নেয়া ফজলুল করিম সাঈদী পারিবারিক প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত বর্ণাঢ্য পরিচয়ের অধিকারী। চকরিয়া উপজেলার অন্যতম আলোচিত আওয়ামী লীগ পরিবার তাদের। তাদের পুরো বংশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর পাগল। পিতা মরহুম ইসহাক আহমদ কন্ট্রাক্টর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। সাঈদীর পিতা মরহুম ইসহাক আহমদ কন্ট্রাক্টর একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও ঠিকাদারী ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তৎকালিন চকরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (চকরিয়া সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়) পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আমার জীবনে নিজস্ব কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। মানুষের একজন সেবক হয়ে কাজ করতে পারলেই তৃপ্ত থাকবো। মানব সেবাই পরম ধর্ম আর আমি সেটা করতেই ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবো ইনশাল্লাহ ।
চকরিয়া উপজেলার তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলেন, ফজলুল করিম সাঈদী নিঃসন্দেহে একজন পরীক্ষিত নেতা। তাকে মূল্যায়ন করার এখনই সময়। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করে তাঁকে মূল্যায়ন করা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। খাঁটি আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, দলের দুঃসময়ে একজন কান্ডারি এবং যোগ্য নেতা হিসেবে তাঁকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিতেই হবে। ফজলুল করিম সাঈদীর মত নেতারা যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাহলে তৃণমুলের আদর্শবান বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের মুল্যায়ন হবে বলে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন গর্বিত সন্তান হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে করি। তাই বড় হওয়ার পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে আর্দশ হিসেবে নিয়ে জীবনচলা শুরু করেছি। তার আদর্শকে ধারণ করে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছি। সেই থেকে জীবনের দীর্ঘপথে অনেক জেল-জুলুম, বাধা-বিপত্তি, দুঃসময় ও কষ্ট সহ্য করেও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হয়নি। এখন সময় এসেছে দল থেকে মূল্যায়িত হওয়ার। সব কিছু বিবেচনায় আমি নিশ্চয়ই মনোনয়ন পাওয়া যোগ্য দাবিদার। আশা করি প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আমাকে মূল্যায়ন করে মনোয়ন দেবেন।’
প্রকাশ:
২০১৯-০২-০৪ ১১:৩৯:২৬
আপডেট:২০১৯-০২-০৪ ১৪:১৮:২৬
- আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে গায়েবি মামলার আসামি এবি পার্টির নেতা
- শান্তি-শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজন আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন -চকরিয়ায় মাসুদ সাঈদী
- চকরিয়া শহর পরিস্কারের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের ১০১ দিবস উদযাপন
- চকরিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাচার বন্ধে বনবিভাগের অভিযান, দুইটি ট্রাক জব্দ
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- শান্তি-শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজন আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন -চকরিয়ায় মাসুদ সাঈদী
- বাড়ি ফিরেছে কুতুবদিয়ার অপহৃত ১৯ জেলে
- চকরিয়ায় মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের লেক থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়া আসছেন চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করিম
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- চকরিয়ায় আওয়ামিললীগ ক্যাডার নজরুল সিণ্ডিকেটের দখলে ৩০ একর বনভুমি:
পাঠকের মতামত: